বিলুপ্তির পথে গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদ ঢোলকলমি অনেকেই মটকা বলে চেনে থাকেন।অবহেলা ও অযত্নে বেড়ে ওঠা আগাছা উদ্ভিদ বেড়ালতা বা ঢোলকলমি।
গ্রামগঞ্জের পথে-ঘাটে, রাস্তার ধারে, খাল – বিলের ধারে, জলাশয়ের ধারে, বাড়ির আশপাশে প্রায় সর্বত্র দেখা যেত। ঢোলকলমি গাছ অল্পদিনের মধ্যে ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়।এ গাছগুলো জমির ক্ষয়রোধ করে। ফসলের মাঠ বা নদীর তীরে পাখি বসার জায়গা করে দেয় এই গাছটি ।
গ্রামে ঢোলকমলি গাছকে বেড়া বা চেকার ও জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।দেশের সর্বত্র ঢোলকলমি বা বেড়ালতা নামে সুপরিচিত। পাতা তোতা স্বাদের হওয়ার কারণে এর পাতা গবাদি পশু খায় না। ঢোলকলমির গাছ ৬-১০ ইঞ্চি পযর্ন্ত আঁকাবাঁকা অবস্থায় লম্বা হয়ে থাকে।
সবুজ পাতার গাছটির ফুল যেকোন বয়সি মানুষের নজর কাড়বে এবং এর ৫টি হালকা বেগুনি পাপড়ির ফুল দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। সারা বছরই ঢোলকলমির ফুল ফোটে। ফুল দেখতে অনেকটা ঘন্টা বা মাইক আকৃতির মতো। ফুলের রং হয় হালকা বেগুনি ও সাদা।
ঢোলকলমির পাতা বা ফুল ছিঁড়লে সাদা কষ বা আঠা বের হয় এবং এই উদ্ভিদ প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
আবার বর্ষার শেষে শরৎ থেকে শীতে সবচেয়ে বেশি ফুল ফোটতে দেখা যায়। এর একটি মঞ্জরিতে সর্বোচ্চ ৪টি-৮টি ফুল ফুটে থাকে। ফুলে মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছি, বোললা, পিপঁড়া ভিমরুল ভীড় জমায়। নদীর তীরে কিংবা ফসলের মাঠে ঢোলকলমি জম্মে পাখি বসার জায়গা করে দেয়। এ গাছে পাখি বসে ফসলের মাঠের পোকা খেয়ে ফসল রক্ষা করতে সাহায্য করে।
গ্রামের অনেক শিশুরা এর ফুল দিয়ে খেলা করে। ফুল দিয়ে মাইক বানিয়ে গাছের উপর বেঁধে খেলা করে।তবে এখনও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার নদীর ধারে এই ঢোলকলমির গাছগুলো দেখা যায় মাঝেমধ্যে।
প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় এই ঢোলকলমি উদ্ভিদকে সংরক্ষণের জন্য আমাদের সকলের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন