সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
এক সময়কার ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক। বিএনপির হয়ে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও মিটিং-মিছিলে ছিল যার সরব উপস্থিতি। সেই সময় সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। ছিলেন বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ এর একনিষ্ঠ সহচর। তবে সেই সবই এখন অতীত। ছাত্রদল ছেড়ে মুজিব কোর্ট পরে এখন আ'লীগ বনে গেছেন কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবুর ভাই ফারুক ওমর। গত ২৫শে জুন ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের পদ পাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানায়।অনেক দৌড় ঝাপের পরেও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির নেতাকর্মীরা তার পেছনের ইতিহাস দেখে কোন পদে স্থান দেয়নি।ফলে আবারও সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী হয়ে ত্যাগী নেতাদের কোনঠাসা করার পায়তারা করছে বলে জানান নেতাকর্মীরা। তৃণমূল স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের দাবি বিএনপি জামাতের ছাত্রদল নেতা বহু দল পরিবর্তনকারী বিএনপি নেতা ওমর ফারুক কিভাবে সোনারগাঁ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হয়? কাচঁপুর এলাকাসীর আরও অভিযোগ,ওমর ফারুক তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে কাচঁপুরের কলাপট্রি,থেকে শুরু করে সোনারগাঁ ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত সরকারী জায়গায় দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক।তাই সোনারগাঁওয়ের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি ওমর ফারুকের মতো হাইব্রিড সুবিধাবাদী নামধারী নেতারা যাতে কোন ভাবেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসতে না পারে।স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠণ।এই সংগঠণে সোনারগাঁওয়ে কোন ভাবেই ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুককে মেনে নেয়া হবে না।
জানাযায়, সোনারগাঁয়ে বিএনপির রাজনীতিতে ভাটা পড়লে ফারুকও নিজের খোলস বদলান। অবস্থা বেগতিক দেখে সরে আসেন সেখান থেকে।ভীড়ে যান সরকারি দলের মিছিলে। ধীরে ধীরে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মিশনে নামেন কাঁচপুর ওমর ফারুক।
এরচেয়েও বড় চমক হচ্ছে, এখন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি পদ প্রার্থী হয়েছেন । নিজের মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছুতে দিন রাত জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন ওমর ফারুক।
এদিকে ওমর ফারুক সাবেক ছাত্রদল নেতা থেকে এখন আসন্ন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী হওয়াতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে অনেকটাই ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাধিক নেতা জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ হচ্ছে একটি অন্যতম সহযোগী সংগঠন। একটি লোক অন্যদল করে এখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব দিবেন এটা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা চান আগামীতে নতুন কমিটিতে ত্যাগী ও দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তারাই যেন আগামীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব দেন।
তবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী ওমর ফারুক এই অভিযোগের বিষয়ে বলেন, এগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ । আমি কখনোই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। তবে আপেল সাহেবের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে দু একবার কথা হয়েছে। কিন্তু তার রাজনীতি করিনাই কখনো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন