নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বারদী ইউনিয়নে ছয় মাসের অবুঝ শিশু সন্তান রেখে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান স্ত্রী তাহমিনা বারদী বাগেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা স্বামী রুহুল আমিন বাদী হয়ে ১৪ সেপ্টন্বর বুধবার স্ত্রী তাহমিনা বেগমের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়,সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বাগেরপাড়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন এর সাথে একই উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার যাত্রাবাড়ী গ্রামের মৃত কবীরের হোসেনের মেয়ে তাহমিনা বেগমের গত ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মোসাম্মাৎ রাইসা নামের ছয় মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন তার স্ত্রী তাহমিনা বিভিন্ন সময় তার খেয়াল খুশি মতো উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করে আসছে। স্বামীকে মূল্যায়ন করে না,সাংসারিক কাজকর্মে মন টিকে না। গোপনে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। পরকীয়ায় বাধা দিলে স্বামীর সাথে ঝগড়াবাঁধে প্রয়াই বলে সংসার করবে না,বাপের বাড়িতে চলে যাবে বলে নানা হুমকি দেয়। এ নিয়ে একাধিকবার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যম মীমাংসা করে দিলে সন্তান এর দিকে তাকিয়ে সুখের চিন্তা করে ঘর সংসার করে আসছিল। গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৬ টার দিকে স্ত্রী তাহমিনা ঘরের আলমারিতে থাকা জমি কেনার জন্য রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা, ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও কাপড় চোপর নিয়ে ছয় মাসের শিশু কন্যা সন্তান রেখে স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
পরে রুহুল আমিন তার শ্বাশুর বাড়িতে যােগাযোগ করলে শ্বাশুরী আমেনা বেগম বলেন তাহমিনা আর ঘর সংসার করবেনা, নানা ধরনের কথাবার্তা বলে ভয়ভীতিসহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। বাদী রুহুল আমিন জানান,আমার স্ত্রীকে সব সময় সকল মর্যাদা দিয়ে আসছি। সে এক সময় নিজের খেয়াল খুশি মত চলে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বাধা দিলে ঝগড়া করে নানা রকম হমকি দেয়। পারিবারিকভাবে এ নিয়ে মীমাংসা হওয়ার পর গত শনিবার ভোরে আমার শ্বাশুরীর প্ররোচনায় আমার ঘরে থাকা জমি কেনার জন্য রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ ও কাপড় চোপর নিয়ে নিষ্পাপ শিশু সন্তানকে রেখে আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমি শ্বাশুরীর সাথে এ নিয়ে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে নানা ধরনের কথা বলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে পারিবারিকভাবে সমস্যা সমাধান করতে না পেরে গতকাল বুধবার সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। রুহুল আমিন আরো বলেন,তার স্ত্রী তাহমিনা পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে এর আগে পালিয়ে অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে করে। এ নিয়ে পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করে পুনরায় সংসার করি। এর মধ্য আবার এ ঘটনা ঘটালো।
শ্বাশুরী আমেনা বেগম জানান,আমার মেয়ে তাহমিনা আমাদের বাড়িতে আসেনি। সে কোথায় গেছেন জানি না। সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান,এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়ে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন