নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকীয়ার টানে দলিল লিখক স্বামী মোশারফকে কারেন্টের সক ও বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে পরকীয়া প্রেমিক ও স্ত্রী শাহীনুর আক্তার।
হত্যার দায় স্বীকার করে আজ আদালতে লোমহর্শক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী শাহীনুর আক্তার। নিহত মোশাররফ ভূইয়া উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের খালপাড় চেঙ্গাইন এলাকার মৃত আঃ কাদির ভূইয়ার ছেলে। নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও মেয়ে মিম আক্তারের দাবী শনিবাত দিবাগত রাতে ৪/৫জনের একটি স্ব-সশস্ত্র ডাকাত দল জোরপূর্বক তাদের ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোশাররফ কে পিটিয়ে আহত করে চলে যায়।পরবর্তীতে বাড়ীর লোকদের সহায়তায় স্থানীয় বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান,নিহত মোশারফের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার পরকীয়ায় আসক্ত নারী।এর আগে একাধিকবার সে অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে গিয়েছিলো।এই নিয়ে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিলো।তাছাড়া যদি সত্যিই ডাকাত আসতো তাহলে ঘরের অন্য কোন সদস্যদের কোন আঘাত না করে বা কোন মূল্যবান জিনিসপত্র না নিয়ে কিভাবে শূন্য হাতে ডাকাতরা চলে গেলো?এমন ডাকাতির ঘটনায় পরিবারের কারও ডাকচিৎকারও শোনা গেলো না।এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে।অনেকেরই দাবী এই ঘটনা কোন ডাকাতির ঘটনা নয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।নিহতের স্ত্রী সন্তানদের প্রশাসনের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করলেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পাবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোশাররফের স্ত্রী কন্যা সহ ৪জনকে আটক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান,এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি তদন্ত চলছে।ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হচ্ছে এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয় পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন