SS TV live
SS News
wb_sunny

Breaking News

সোনারগাঁয়ে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে নিবন্ধনকৃত সিম।



টাকা বেশী দিলেই পাওয়া যাচ্ছে আরেকজনের বায়োমেট্রিকে নিবন্ধনকৃত মোবাইল সিম । এসব সিম পাওয়া যাচ্ছে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিভিন্নস্থানে । এ সিম দিয়ে কেউ অপরাধ করলে ফেঁসে যাবেন অন্য ব্যক্তি।উপজেলার বিভিন্ন  অলিগলিতে থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে ছাতা টাঙিয়ে বসতে দেখা যায় বিভিন্ন কোম্পানির লোকজনকে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহককে দিচ্ছে ফ্রি সিম। 

প্রথবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর সাকসেস হয়নি বলে আবার নেওয়া হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যাস কাজ এখানেই শেষ। এক্টিভ হয়ে গেলো দুটি সিম কিন্তু গ্রাহক বুঝতেই পারলোনা তার এনআইডি দিয়ে দুটি সিম বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেলো।গ্রাহক নিয়ে গেলো একটি সিম।অন্য সিমটি রয়ে গেলো সিম বিক্রেতার কাছে।

আর এই বায়োমেট্রিক ও এনআইডি ছাড়াই  সিম কেনার জন্য খরচ করতে হবে ২০০/৩০০ টাকা।কিন্তু সাধারণত আরও অনেক কম দামেও বৈধভাবে সিম পাওয়া যায় বিভিন্ন কোম্পানির রিটেইল পয়েন্টে।

এতো সহজ মোবাইল সিম কেনা! কিন্তু নিয়ম তো তা বলে না। সোনারগাঁও সময়ের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে আরো অনেক গোপন তথ্য। কথা হয় একজন সিম বিক্রেতার সাথে তিনি জানান সিম বিক্রির ভেতরের কিছু তথ্য। তিনি বলেন, টার্গেট করতেই আমাদের বেছে নিতে হয় এই অবৈধ সিস্টেম। টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে আমরা এই কাজ করি।কারন টার্গেন পুরন না হলেই অফিস থেকে শুনতে হয় গালাগালি বা চাকুরী হারানোর কথা।এমন কি আটকে দেওয়া হয় মাসের ভেতন পর্যন্ত। 

এমন সিম বিক্রেতার অভাব নেই সারা দেশে। এমন আরো এক সিম বিক্রেতা জানান, একটি সিম নয় চাইলে তিনি দিতে পারেন বিভিন্ন কোম্পানির একাধিক সিম।

সিম মোবাইলের ভেতরে দিতেই দেখা যায় সব ঠিকঠাক। অর্থাৎ, অন্য কারও বায়োমেট্রিক ও এনআইডির তথ্য দিয়ে সিমটি বিক্রি করা হয়েছে। এই সিম দিয়ে যে কেউ যা ইচ্ছে করতে পারবে। এমনকি ভয়াবহ অপরাধ করলেও দোষ পড়ছে অন্যের ঘাড়ে।

এমন জালিয়াতি বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে তাগাদা দিয়ে আসছে প্রযুক্তি বিশ্লেষক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। যদিও, মোবাইল ফোন অপারেটরদের দাবি যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই সিম সরবরাহ করেন তারা।


Tags

সাবসক্রাইব করুন!

সবার আগে নিউজ পেতে সাবসক্রাইব করুন!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন