"
"
সোনারগাঁ সময়ঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে দেখা যায় টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ডামুড্যা থানাধীন ধানকাঠি গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের মহাদেব দাসের ( ৪০)। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। বৃদ্ধ মাতা,স্ত্রী ও দুই টি কন্যা সন্তান নিয়ে তার সংসার। সংখ্যালঘু এই পরিবারটি দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত। জীবন ও জীবিকার অন্বেষনে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে কোন রকমে চলছিল তার সংসার ও দুটো মেয়ের পড়াশোনা।মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে মহাদেব কাজ হারিয়ে হয়ে পড়েন অসহায়। নুন আনতে যখন পান্তা ফুরানোর দশা। তখন গোদের উপর বিষ ফোঁড়ের মতো অবস্থা হয় তার। পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তি মহাদেবের দুটি কিডনি ই ৯৫% নষ্ট হয়ে যায়। তাদের কান্না ও আহাজারিতে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সংখ্যালঘু পরিবারের এই করুন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেয়ে অফিসার ইনচার্জ জনাব শরীফ আহমেদ, ডামুড্যা থানা,শরীয়তপুর তার থানার ইন্সপেক্টর( তদন্ত) প্রবীন কুমার এবং এসআই/ আসলাম কে নিয়ে দ্রুততম সময়ে মানবিক সহায়তা নিয়ে তার পাশে দাঁড়ালেন। তাহাকে নগদ আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ালেন। সঙ্গে করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গেলেন। তাঁরা ও অসহায় মহাদেব কে উদার হস্তে আর্থিক সহায়তা করেন। ওসির মানবিক সহায়তায় মুগ্ধ হয়ে তারা ওসি সাহেবের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আর্শীবাদ করেন। এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্য করে ওসি সাহেব বলেন," আপনারা জানেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম( বার) পিপিএম (বার) মহোদয় বাংলাদেশ পুলিশের একজন আইকনিক অফিসার। একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি স্যার এবং শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব এস.এম আশরাফুজ্জামান স্যারের মানবিক পুলিশ হওয়ার দিক নির্দেশনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি মানবিক সহায়তা মুলক বিভিন্ন কাজ করে থাকি।" পুলিশ জনতার বন্ধু। মানুষের দুর্দিন দুঃসময়ে পুলিশ সবার আগে আমি এটি বাস্তবায়ন করতে চায়।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন
ধানকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু এবং কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআনিছুর রহমান( বাচ্চু)ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন সহ আরো দুজন সদস্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন