নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশের এসআই তপন কুমার বাকচী পিছনে ১৪দিন ঘুরে মামলা করলেন ভূক্তভোগী মহিউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে ভূক্তভোগী মহিউদ্দিনের স্ত্রী নুর নাহার (৫৫), জানান, গত ১৭ জুন সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় মাদক ব্যবসায়ী বকুল আহমেদের (৩৫) নেতৃত্বে তার সহযোগী শুকুরদী গ্রামের লিটনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২০), সিরাজুলের ছেলে লিটন (৪৫), একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তকবির কসাই (৪০) ও তকবির কসাইয়ের ছেলে আবু সাঈদ (১৮) তাকে ও তার স্বামী মহিউদ্দিন (৬৫) এবং তার ছেলে মো. নূর নবীকে (২৫), লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতারী ভাবে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে নূর নবীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় আঘাতের ফলে মো. নূর নবীর কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
এদিকে গত ১৮জুন মহিউদ্দন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানের বরাবরে একটি অভিযোগ করলে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান থানার এসআই তপন কুমার বাক্চী। পরে মামলা নেই নিচ্ছি বলে ভূক্তভোগী বৃদ্ধ মহিউদ্দিনকে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকেন এসআই তপন কুমার বাকচী।
পরে উক্ত ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনকে (সার্কেল-বি) জানানো হলে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও থানায় মামলাটি রুজু করা হয় ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন