গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ১০ বছর ধরে প্রেম করার পরও সালিস বৈঠকে কাবিননামার (রেজিষ্টি) মাধ্যমে বিয়ে হয় ইতি আক্তারের। পরে শহরের শশুরবাড়িতে যাওয়ার পথেই বউকে প্রসাবের কথা বলে পালিয়েছে বর জাহিদ হাসান শোভন।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে। বরের পালিয়ে যাওয়ার খবরটি জানাজানি হলে এলাকাজুড়েই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বরের বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নলডাঙ্গা (সরোবরোপাড়) এলাকায়। স্থানীয় মিল-চাতাল ব্যবসায়ী রেজাউনুল হক লিটনের ছেলে শোভন ঢাকার একটি বেসরকারী আশা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত।
এরআগে, বিকেলে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নলডাঙ্গা চালক সমিতির কার্যালয়ে উভয়ের সম্মতিতে রেজিষ্ট্রি ও মৌলভী দ্বারা বিয়ে সম্পূর্ন হয় তাদের। এরপর নলডাঙ্গা থেকে গাইবান্ধা শহরের শশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে সাদুল্লাপুরের কালিবাড়ি মন্দিরের পাশে রাস্তায় অটোরিক্সা থেকে নেমে কৌশলে পালিয়ে যায় জাহিদ হাসান শোভন।
ঘটনার পর থেকেই মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায় বর শোভনের। পরে নিরুপায় হয়ে প্রতিকার চেয়ে রাত ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নববধূ ইতি আক্তার (ছন্দনাম)। তার বাড়ি সদর উপজেলা শহরের মহুরিপাড়া (গোবিন্দপুর) গ্রামে।
ভুক্তভোগী ইতি আক্তার জানান, গত ১০ বছর ধরে শোভনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। কিছুদিন ধরে শোভন বিয়ে করতে তালবাহনাসহ তার সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে। বিয়ের দাবিতে তার বাড়ির এলাকায় গেলে পরিবারসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে শোভন আমাকে বিয়ে করে। এরপর বাড়ি যাওয়ার পথে সাদুল্লাপুরে পৌঁছে প্রসারের কথা বলে শোভন তাকে রেখে পালিয়ে যায়। প্রেমের অভিনয় আর বিয়ের পর শোভন এমন প্রতারণা করবে তা বুঝতে পারিনি আমি। এ ঘটনায় প্রতারক শোভনের বিচার দাবি জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন