আর্ন্তজাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ এর আর্ন্তজাতিক স্লোগান- "রিইমাজিনিং হিউম্যান মবিলিটি" এবং আমাদের জাতীয় স্লোগান -- মুজিব র্বষের আহ্বান দক্ষ হয়ে বিদেশ যান " এই স্লোগানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১৮ ই ডিসেম্বর আর্ন্তজাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বেইস ট্রেনিং সেন্টারে দিন ব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে সোনারগাঁ অভিবাসী ফোরাম ও অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ)।
জাতীয় সংগীত এবং আমাদের একাত্তরের শহীদদের স্মরণে, এই করোনা ভাইরাস মহামারীর মাঝে আমাদের অভিবাসী কর্মীদের আত্মত্যাগের স্মরণে অনুষ্ঠানটি সকাল দশটায় শুরু করা হয় এবং বিকেল চারটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়। তার আগে আমাদের দেশের অভিবাসীদের কঠোর পরিশ্রম, র্দুভোগ ও ত্যাগের কথা স্মরণ করে প্রোগ্রামটি শুরু করা হয়।
সোনারগাঁ অভিবাসী ফোরাম সদস্য সাংবাদিক শাহ জালালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে.এম. আলী রেজা- যুগ্মসচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওকাপ এর চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম ও নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারুক চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওকাপ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ এ মামুন। আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ অভিবাসী ফোরাম সদস্য এডভোকেট সফর উদ্দিন সবুর।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কে.এম. আলী রেজা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকারও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। তবে নাগরিক সমিতি, অভিবাসী ফোরাম এবং এনজিওগুলিকে দেশে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম বলেছেন, আইএমডি আমাদের অভিবাসী শ্রমিক এবং বাংলাদেশের
সামাজিক ও র্অথনৈতিক সংহতিকরণের জন্য একটি গুরুত্বর্পূণ দিন। এই দিনটি অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যায়বিচার এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি মাধ্যম। দক্ষ অভিবাসন নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তিনি এই বছরের স্লোগান এবং সরকারের দায়িত্বের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। বাংলাদেশের মানব পাচারের বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিবেচনা করা উচিত, তবেই ন্যায্য ও নিরাপদ অভিবাসন সম্ভব। ওকাপের জন্ম লগ্ন থেকেই এটি সারা দেশে অভিবাসী কর্মীর পক্ষে এবং তাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এই করোনার সংকটটি অভিবাসী কর্মীর জন্য একটি কঠিন সময় নিয়ে এসেছে। আমাদের সরকারের উচিত তাদের অগ্রগতিতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ওকাপের নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আমি নিজেই একজন অভিবাসী কর্মী ছিলাম। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার কথা বলব এখানে। আমি আমাদের অভিবাসীদের জন্য গর্বিত।
ফারজানা বেগম, একজন বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মী বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সি আমার অনেক ক্ষতি করেছে। আমি গার্মেন্টসের মেশিন অপারেটর হিসাবে জর্ডানে গিয়েছিলাম এবং এই করোনা ভাইরাস মহামারীতে এক বছর পরে বিনা বেতনে খালি হাতে ফিরে এসেছি। আমাকে কেবল প্রথম কয়েক মাসের বেতন দেয়া হয়েছিল।
ওকাপের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার অভিবাসী কর্মীদের বঞ্চনা এবং করোনাকালীন দুঃসময়ের কথা
তুলে ধরে অভিবাসী কর্মীদের সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন, জাতীয় সেফটিনেটের আওতাভুক্ত করা, এবং
সুষ্ঠভাবে বিদেশ গমন নিশ্চিত করার দাবী মেনে নেয়ার আবেদন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন