নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামে ফের মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ধর্ষিতার বাবা শনিবার রাতে বাদি হয়ে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ও সনমান্দীতে ৯ বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তবে গ্রফতারকৃত আরফানের স্ত্রী মরিয়মের দাবী, তার স্বামী নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাদের কাছে তার চাচা আবাসিক হোটেলের কর্মচারী শাহ আলম ২ লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা না দেওয়ায় তার স্বামীকে ফাঁসিয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা করার দাবী জানিয়েছেন মরিয়ম।
মামলায় বাদি মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামের পূর্বপাড়ায় তারা বসবাস করেন। তার ভাতিজি জামাই আরফান হোসেন সাগর ভাইয়ের বাড়িতে বাস করে রাজ মিস্ত্রির কাজ করে। তাদের বাড়িতে থাকার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে ঘরের বাইরে বের হলে তাকে জোরপূর্বক ভাবে অন্যত্র তুলে নিয়ে ধর্ষন করে। বিষয়টি পরিবারকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ধর্ষক আরফান হোসেন সাগর জামালপুর সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন