গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা পৌরসভায় এই দোকান ঘরটি ডিবি রোডের পুরাতন জেলখানা (বর্তমান বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল) সংলগ্নে পশ্চিম পাশে। জেলখানার সৃষ্টিলগ্ন থেকে দোকানটি গণপূর্ত বিভাগ আমার বাবার নামে লিজ দিয়েছিলেন। দোকানটি সামনের কিছু অংশ পৌরসভার মধ্যে পড়ায় তৎকালীন পৌরসভাও তাদের অংশ আমার বাবার নামে লিজ দিয়েছিলেন। আর দোকানের পিছন বরাবর মাদ্রাসা পর্যন্ত (জেলখানার শেষ সীমানা) একটি ড্রেন ছিল পানি নিষ্কাশনের, যা দিয়ে জেলখানার পানি নিষ্কাশন করা হতো। সে সময়ে এই দোকানটি ছিলো আমাদের একমাত্র অবলম্বন। সেই আমল থেকেই আমাদের এই অবলম্বন টি কেরে নেয়ার নানা ষড়যন্ত্র চলছিলো।ষড়যন্ত্রকারী শেষ ব্যক্তিটি মারিয়া বেকারির মাহবুবুল আলম।
যখন থেকে গাইবান্ধা ডিবি রোড ফোরলেন হওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ঠিক তখন থেকে আমাদের এই দোকানের পিছনের জায়গা নানা ভাবে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও তিনি জজ কোর্টের 9/9 ফুট জায়গার জজ কোর্ট থেকে লিজ নিয়ে আছেন।
কিছুদিন আগে নায়েব নাজির সুমনের সহযোগিতায় মাহবুবুল আলম আমাদের দোকানের পিছনের ফাঁকা জায়গাটি দখল নেন। সেখানে আমার ছোট ভাই জিহাদ বাধা দিতে গেলে তাকে নির্মমভাবে মেরে আহত করে।জিহাদের বউ ববি বেগম গাইবান্ধা সদর থানায় সে বিষয়ে মামলা দিতে গেলে সদর থানার ওসি খাঁন মোঃ শাহরিয়ার তৎকালীন জজ সাহেবের দোহাই দিয়ে মামলাটি রুজু না করে তাল-বাহানা করতে থাকেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা যখন মামলাটি রুজু করাই ঠিক ওই রাতে মাহাবুবুল আলম আমার নামে এবং আমার ছোট ভাই জিহাদের নামে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন এবং কোনো তদন্ত ছাড়াই সে মামলাটি ওসি রুজু করেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ও আইজিপি মহোদয়-এর হস্তক্ষেপে পুলিশ মামলাটির চুড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বাধ্য হয়।
পাশাপাশি ববি বেগমের দায়ের করা মামলাটি সত্য হবার পরেও কোন তদন্ত না করে তদন্ত ওসি মজিবুর রহমান মাহবুবুল আলমের সাথে যোগসাজস করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে ববি বেগম আদালতে নারাজি দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি পিবিআই কে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে। এত কিছু ঘটে যাবার পরেও বর্তমান নাজির শাহিন সাহেব পুনরায় সেখানে আসেন এবং মাহবুবুল আলমকে দোকানের পিছনের ফাঁকা জায়গাটি সম্পূর্ণরূপে দখলে নিতে বলেন। যদিও বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের অধ্যক্ষ একেএম শফিকুর রহমান নাজির কে জায়গাটি মেপে তারপর সিদ্ধান্ত দিতে চেয়েছেন।
সবকিছু জেনে আমি নাজির শাহিনের মাধ্যমে জজ সাহেবের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি নিজে গিয়ে জজ সাহেবকে বিষয়টি বলেন এবং আমাকে এসে বলেন, স্যার নতুন করে কোন জায়গা লিজ দিবে না এবং জায়গাটি সম্পূর্ণ রুপে প্রাচীর নির্মাণ করবে। এখন প্রশ্ন হলো জজ সাহেব যদি নতুন করে কোন জায়গার বরাদ্দ না দেন বা বর্ধিত না করেন তাহলে 9/9 মাহবুব আলম-এর দোকান ঘরটির (যদিও এটি জজ কোর্টের জায়গা নয়) পূর্ব পাশে বর্ধিত করার নির্দেশ কিভাবে দিলেন নাজির শাহিন?
যার কাছে আমাদের আস্থা রাখার জায়গা, যার কাছে আমরা সঠিক বিচারের আশা রাখি, তার অধীনস্থ কর্মকর্তারাই যখন আইন ভঙ্গ করে। । তাহলে আমরা সাধারন মানুষ কার কাছে যাবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন