সোনারগাঁ সময়ঃ সোনারগাঁয়ে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে সাজেদুল ইসলাম (৩৬) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা হত্যা করা হয়েছে।
রোববার(৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজেদুল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার মগদা ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর সাত্তার মিয়ার ছেলে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্রাইম সিনের সদস্যরা বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পরপরই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। ওই এলাকায় উৎসুক জনতা ভীড় করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে হান্নানের স্ত্রী শারমিন আক্তার ব্যুরো বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও বারদী শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এ থেকে প্রতি সপ্তাহে ১২৫০ টাকা করে ঋণ পরিশোধ করে শারমিন আক্তার। এছাড়াও ওই বাড়িতে আরো কয়েকজন গ্রাহক রয়েছে। রোববার দুপুরে কিস্তির টাকা আদায় করতে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মোঃ সাজিদুর রহমান হান্নানের বাড়ি যান। পরে হান্নানের ঘরে তার গলাকাটা লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক তদন্ত শরীফ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রাইমসিনের সদস্যদের খবর দিলে বিকেলে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করতে কার্যক্রম শুরু করে।
ব্যুরো বাংলাদেশ বারদী শাখার হিসাব রক্ষক মামুন অর রশিদ বলেন, সাজিদুর রহমান বেলা ১২ টার দিকে একটি কেন্দ্রের টাকা উত্তোলন করে অফিসে জমা দিয়ে দুপুর সোয়া ১টায় ওই কেন্দ্রের টাকা তুলতে যান। এখানে এসে তিনি হত্যাকান্ডের শিকার হন৷ তবে গ্রাহকরা নিয়মিতভাবেই কিন্তি পরিশোধ করছেন। তার কাছে কোন নগদ টাকা ছিল না। কি কারনে এমন হত্যাকান্ড ঘটলো বিষয়টি তদন্তের দাবি করছি।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কি কারনে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন