জিহাদ হক্কনী : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলা দোকান মালিক সমিতির আয়োজনে ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের চৌমাথা মোড়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকশ মানুষ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন পলাশবাড়ী উপজেলা জাসদের সভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল মিত্র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাদশা ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা বাস-মিনিবাস কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুস সোবহান, উপজেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লব, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার আহবায়ক আব্দুল্লাহেল ফারুক, পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস পলাশ চৌধুরী ও সাবেক এজিএস ফিরোজ কবীর চৌধুরী, পলাশবাড়ী উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফরিদুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম ও সদস্য নাসিব হাসান সিউল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চলতি বছরের ১৩ মে উপজেলা শহরের গৃধারীপুর এলাকার ফারুক আকন্দ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করে পলাশবাড়ী থানার পুলিশ। এ ঘটনায় ভাইকে উদ্ধারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আজাদুল ইসলামের কাছে সহযোগিতা চান ফারুক আকন্দের বোন তাছলিমা আক্তার হীরা। কিন্তু পূর্ব থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় ও তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা না করায় তারা আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। অথচ আজাদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে রাজনীতি ও ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু একটি মহল ইর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ও লিপ্ত রয়েছে। ফারুক আকন্দ ও তার বোন তাছলিমা আক্তার হীরা এলাকায় সুদের ব্যবসা করে সাধারণ নিরীহ মানুষদের হয়রানী করে থাকেন। আর এতে করেই আজাদুল ইসলাম তাদের চক্রান্তের শিকার। আর তাই বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন