সোনারগাঁও সময়ঃ সোনারগাঁয়ে সরকারি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানায় থাকা সরকারি যায়গা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গুচ্ছগ্রামের দুস্কৃতিকারী জনৈক বাদল। ইসলামপুর গ্রামের বেসরকারি স্কুলের আয়ের জন্য করা কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করে দখল নিতে পায়তারা চালাচ্ছে বাদল। এজন্য নিরীহ দোকানদারদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা দিয়েও হয়রানি করছে বাদল। এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশ ও থানা পুলিশের ফায়সালাও মানছেন না তিনি। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারি জায়গা নিজের বলে দাবি করে আসছেন তিনি।
সরেজমিন ইসলাম পুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামে সরকারি খাস জমি লিজে নিয়ে গড়ে ওঠেছে মেঘনা পাওয়ারপ্লান্ট নামে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ওই বিদ্যুতকেন্দ্রের সীমানা গেষে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে মুদিসহ খুচনা দোকান তুলে জীবিকা করছে কয়েকটি পরিবার। বিনিময় সেখানে গড়ে ওঠা একটি বেসরকারি স্কুলে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট হারে অনুদান দিয়ে আসছেন তারা। এতে করে সেখানে শিশুরা শিক্ষার আলো দেখছে। প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত দোকানীরা জীবিকা নির্বাহ করলেও বেশকিছুদিন ধরে ওই জায়গায় শকুনের দৃষ্টি পড়েছে। একই গ্রামের দুস্কৃতীকারি মতিউর রহমানের ছেলে বাদল নানা কৌশলে জায়গাটি অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
কিন্তু এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও গ্রামের মান্যগন্য ব্যক্তিরা শালিশ করে, এই জায়গা থেকে দাবী ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও কর্ণপাত করেনি বাদল। থানায় মামলা দিতে গেলে, থানা পুলিশও অনুসন্ধান করে তারা মালিকানা প্রমানিত না হওয়ায় মামলা নেয়নি। কিন্তু সুচতুর বাদল লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে নিরীহ দোকানীদের হয়রানি করছে।
ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দোকানি, মনির হোসেন, আবুল হাশেম, মতি মিয়া ও নুর মোহাম্মদ জানায়, আমরা দীর্ঘ বিশ-একুশ বছর ধরে পরিত্যক্ত এই যায়গাতে দোকান চালিয়ে জীবন যাপন করছি। গত দুবছর ধরে বাদল ও তার সন্ত্রাসীবাহীনি আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে লাগাতার হুমকি-ধামকি, হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলছেন। পুলিশ এনে ভয়ভীতি দেখান।
গ্রাম্যশালীশের ফায়সালাও না মেনে আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাদল বলেন, কোম্পানির যায়গা যার যার বড়ির সামনে পড়বে সেই দখল করে। আমার বাড়ির সামনের যায়গা আমি দখল করবোই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম ও গ্রাম প্রধান ধনু হাজী বলেন, আমরা বিচার ফয়সালা করে বাদলকে ফ্যাসাদ করতে নিষেধ করেছি। তখন সে আমাদের ফায়সালা মেনেও নেয়। কিন্তু পরে শুনছি আবার দোকানদারদের ওপর অত্যাচার করছে।
স্থানীয়রা জানান, কোম্পানির সীমানার বাহিরে ৬৩ ফুট যায়গা ছেড়েছেন স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তার জন্য। রাস্তা হয়েছে মাত্র ১০ ফুটের মধ্যে।বাকী জায়গাটাই নানা কায়দায় দখল নিতে মরিয়া বাদল। সে গায়ের জোরে গরিব মানুষদের ওপর ঝুলুম করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন