জিহাদ হক্কানী
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ব্র্যাক স্কুলসহ শতাধিক বাড়ী পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় শতশত বানভাসীদের আশ্রয়স্থল সরকারী স্কুল।
এখন তারা খেয়ে নাখেয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিপাকে পড়া বানভাসীদের সরকারী কিংবা বেসরকারী ভাবে করা হয়নি সাহায্য সহযোগীতা। এমনকি তাদের খোঁজ খবর পর্যন্ত কেউ নেয়নি এমনি অভিযোগ করলেন পঁয়ষট্টিদ্ধো সুলতানা বেওয়া।
গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘাঘট নদীর ৫৪ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে নাহওয়ায় চরমদূর্ভোগের কারন তাই পাউবো কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করলেন ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম।
ঘাঘট নদের তীরবর্তী রসুলপুর, দামোদরপুর, বনগ্রাম ও কামারপাড়া ইউনিয়নের কিছু কিছু অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রতিবছর শতশত লোকের বাড়িঘর পানিতে ডুবে যায়। ফসল নষ্ট হয়। মানুষকে চরমদূর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বন্যার কারনে এই অঞ্চল গুলোতে বন্যার পানিতে বাড়ি ঘর ডুবে বাপ দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে শতাধিক বানভাসী আশ্রয় নিয়েছে সাদুল্লাপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এবিষয়ে জয়নব কান্না ভেজা কণ্ঠে বলেন- গভীর রাতে হঠাৎ ছাগলের ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের মেঝেতে পানি।ধান চাল সব পানিতে ভিজে গেছে।তারাহুরা করে সব ফলে এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন- নদী খনন ও বাঁধের কাজ সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে নাহওয়ায় প্রতি বছরে এই অঞ্চল প্লাবিত হয়।আমরা বানভাসীদের পাশে আছি। যথাযথ সাহায্য সহযোগীতা করা হবে বলে আশস্থ করেন।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, শিশুখাদ্য, গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। শুকনা খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্যের সংকটে পড়েছে দুর্গত মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না। ত্রাণের আশায় প্রহর গুণছে বানভাসীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন