জিহাদ হক্কানী :গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে ঘাঘট নদীর করাল গ্রাসে প্রায় ৩০০টি পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে বাস্তুহারা হয়েছে।
২য় দফায় ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি ও গতিপথ বিমুখ হওয়ায় এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এই করুন দশার কারণ বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে জানা যায়- দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের পঃ শ্রীরামপুর মেম্বার পাড়ায় ৩০০ টি পরিবার, প্রামাণিক পাড়ায় ২০০ টি পরিবার, মুন্সী পাড়ায় ৮০ টি পরিবার, প্রামাণিক পাড়ার হারিয়ার কুটি ৭০টি পরিবার ও প্রধান পাড়ায় ১৫০টি পরিবারে প্রায় ১৩০০ লোক অতিকষ্টে বসবাস করে আসছে। এদের মধ্যে ৩০০টি পরিবার বাস্তুভিটা হারিয়ে অন্যের জায়গায় মাথা গুজে থাকলেও বাকি পরিবার গুলো নদীর সাথে যুদ্ধ করে খেয়ে নাখেয়ে দিন পার করছে।
উল্লেখ্য থাকে যে এই গ্রামে ২০০৮ সালে স্থাপিত দক্ষিণ শ্রীরামপুর বেসরকারী প্রাঃ বিঃ ও দক্ষিণ শ্রীরামপুর সরারপার বেসরকারী প্রাঃ বিঃ থাকলেও দক্ষিণ শ্রীরামপুর বেসরকারী প্রাঃ বিঃ টি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন।
সত্তরোর্ধ আব্দুল মান্নান মাষ্টার বলেন - তিন বার বাড়িঘর সরাইয়াও নিস্তার পাইনি নদী ভাঙ্গন থেকে। নদীর গতিপথ পূর্বের জায়গায় স্থানান্তর করা হলে ৭০০টি পরিবার তাদের বাস্তুভিটায় বসবাস করতে পারবে। নদী পূর্বের জায়গায় নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী করছি।
শতবৎসর বয়সী মল্লিকা বেওয়া বলেন- বারবার নদী বাড়িভিটা কেড়ে নিচ্ছে। শেষ বয়সে স্মামীর ভিটায় মনেহয় থাকা হবেনা।সরকার যদি নদীটা আগের জায়গায় নিত এবং ত্রাণের ব্যবস্থা করত ভাল হত।
নলডাঙ্গা ইউপি সদস্য লোকমান মিয়া বলেন- নলডাঙ্গা ইউনিয়নে শ্রীরামপুর গ্রামের বাস্তুহারা জনগণ নদীর সাথে যুদ্ধ করে খেয়ে নাখেয়ে জীবনযাপন করছে। এখানে নদীর গতিপথ পূর্বের অবস্থায় ফিরে নেওয়া ও বাস্তুহারাদের অার্থিক সহযোগীতা করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী করছি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন- বিষয়টি শুনেছি। আর্থিক সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন