জিহাদ হক্কানী
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় জামালপুর ইউনিয়নে লম্পট আল আমিন মেম্বরের বিরুদ্ধে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যৌন নিপিড়নের ভুক্তভোগী তাসলিমা আক্তার আলোর অভিযোগের প্রে-পেক্ষিতে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আল আমিন (৪০)কে ০৯/০৭/২০২০ বিকালে আটক করেছে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ।
আল আমিন গয়েশপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়- আল আমিন ও মনজু মিয়া জামালপুর ইউনিয়ন পরিদের সদস্য হওয়ার সুবাদে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। মনজুর বাড়িতে যাওয়া আসা করে আল আমিন। মনজু মেম্বরের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার আলোর রুপে মুগ্ধ হয়ে লম্পট আল আমিন মরিয়া হয়ে উঠে পাওয়ার জন্য। সু কৌশলে মনজুর মোবাইল হতে আলোর মোবাইল নম্বর নেন। এরপর সময় অসময়ে ফোন করে বিরক্ত করেন তাসলিমাকে। বাড়ি ফাঁকা পাওয়ার আশায় সুযোগ খুঁজতে থাকেন আল আমিন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯/০৭/২০২০ আনুমানিক বিকাল ৩.০০ টায় মনজু মিয়ার অনুপস্থিতিতে তাসলিমা নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আল আমিন চোরের বেশে লুকিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তাসলিমার শরীরের হাত দিলে তাসলিমা চিৎকার করে তখন আল আমিন দৌড়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এরপর তাসলিমা তার স্বামী মনজুকে ফোন কর সব ঘটনা বলেন। মনজু ও তার স্ত্রী তাসলিমা সাদুল্লাপুর থানায় গিয়ে আল আমিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ দায়ের করেন।
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা বেগম বলেন - যৌন নিপিড়ন একটি জঘন্য নিকৃষ্ট কাজ।এটি সবাই করতে পারে না। লম্পট দূঃষ্কৃতিকারীরা এই কাজটি করে থাকে। আল আমিন এর আগেও যৌন নিপিড়নের ঘটনা ঘটাইছে।
এই লম্পট দূঃষ্কৃতিকারীদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন- আল আমিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপিড়নের অভিযোগ পাওয়ার পরই তাকে আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন