সোনারগাঁও সময় ডেস্ক গত ৭ জুন নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামে মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে ব্যবহারের সময় বিদ্যুস্পর্শে ঘরে আগুন লেগে দগ্ধ হওয়া কলেজ ছাত্র অপূর্ব দাস মারা গেছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীণ অবস্থামারা যায়।
গত রোববার সকালে মোবাইল চার্জে লাগিয়ে ব্যবহারের সময় বিদুৎস্পর্শে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয় তার মা ও কলেজ ছাত্র অপূর্ব দাস।
পরে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সকালে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানায়, সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারী মো. মিজানুর রহমানের ভাড়াটিয়া বানু রানী দাস ও তার ছেলে অপূর্ব দাস রোববার সকালে মোবাইল চার্জ দেওয়া অবস্থায় বিদ্যুস্পর্শ হয়ে শরীরে আগুন লেগে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে।
নিহত অপূর্ব দাস সোনারগাঁও জি.আর. ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান জানান, তাদের শরীরে কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারছি না। তবে সে যখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে তখন তার কানে হেডফোন ও চার্জারের তার জড়ানো ছিল। এ সময় তার মুখ ও বুক ঝলসানো ছিল। ঘরে তার মায়ের মাথার চুল আগুনে পোড়া ছিল। আগুনে খাট, তোশক ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। অপূর্ব ও তার মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপূর্ব দাসের শরীরের ৭০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন