নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামে মোবাইল ফোন চার্জে লাগিয়ে ব্যবহারের সময় বিদ্যুস্পর্শে ঘরে আগুন লেগে দগ্ধ কলেজ ছাত্র অপূর্ব দাসের মারা যাওয়ার একদিন পর মারা গেলেন মা বানু রানী দাস। বুধবার সকালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান।
গত রোববার সকালে মোবাইল চার্জে লাগিয়ে ব্যবহারের সময় বিদুৎস্পর্শে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয় তার মা বানু রানী দাস ও কলেজ ছাত্র অপূর্ব দাস।
পরে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সকালে ছেলে অপূর্ব দাসের মৃত্যু হয়। ছেলের একদিন পর বুধবার সকালে মা বানু রানী দাসের মৃত্যু হ।।
![]() |
এলাকাবাসী জানায়, সোনারগাঁও পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারী মো. মিজানুর রহমানের ভাড়াটিয়া বানু রানী দাস ও তার ছেলে অপূর্ব দাস রোববার সকালে মোবাইল চার্জ দেওয়া অবস্থায় বিদ্যুস্পর্শ হয়ে শরীরে আগুন লেগে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে।
বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান জানান, তাদের শরীরে কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পারছি না। তবে সে যখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে তখন তার কানে হেডফোন ও চার্জারের তার জড়ানো ছিল। এ সময় তার মুখ ও বুক ঝলসানো ছিল। ঘরে তার মায়ের মাথার চুল আগুনে পোড়া ছিল। আগুনে খাট, তোশক ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। অপূর্ব ও তার মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপূর্ব দাসের শরীরের ৭০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মায়ের মাথায় অংশে দগ্ধ হওয়ার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মা বানু রানী দাসের মৃত্যু হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন