
নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁয়ে খনন যন্ত্র দিয়ে উপজেলার লাদুরচড় এলাকায় লাদুর চড় মৌজা কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে অত্র ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার দুই ছেলে রুমি, মিঠু ও একই এলাকার শফিক মাস্টারসহ ১০/১২ জন ভুমি খেকো।এতে করে প্রায় কয়েক’শ বিঘা কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে পার্শবর্তী জমিগুলো ভেঙ্গে গভীর গর্তে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে এলাকার শতাধীক কৃষক।বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে এলাকার কৃষকদের মামলা হামলার হুমকি দেয় ভুমি খেকো চক্রটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাদুরচড় এলাকায় প্রায় হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে নিয়মিত চাষাবাদ করা হয়।এই ফসলি জমিগুলোতে ইরি ধান, পাট, শসা, টমেটো, চিচিঙ্গা, সিমসহ হরেক রকমের সবজি উৎপাদন করা হয়।এলাকার সবজি ও কৃষি পন্য সোনারগাঁ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা যায়। কৃষি কাজের উপর নির্ভর করেই এলাকার ৭০ শতাংশ মানুষের জীবিকা।একাধীক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কয়েকদিন যাবৎ দিনে রাতে খননযন্ত্র দিয়ে কৃষি জমি বালু উত্তোলন করছে মাটি খেকো চক্রটি। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়া বলেন, আমার ছেলেরা তাদের কিনা জমি থেকে বালু উত্তোলন করছে। তবে, তারা বসুধা কোম্পানির হয়ে মাটি কাটছে।বালু সন্ত্রাসী শফিক মাস্টার বলেন, কোম্পানির অনুমোদন নিয়েই মাটি কাটা হচ্ছে। আর বসুধা কোম্পানির ক্রয়কৃত জমিতে পুরনো পুকুরটাকে কেটে বড় করা হচ্ছে।

নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান বলেন, তারা যেখান থেকে মাটি কাটছে অধিকাংশই সরকারী জমি। তারা বালু উত্তোলন করার কারণে পাশের জমিগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরছে।এভাবে চলতে থাকলে কৃষি জমির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। অবিলম্বে মাটি খেকুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, সরকারী জমি এবং কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা বা বালু উত্তোলন সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। কেউ এমন কাজ করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন