১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গুলোর অন্যতম সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মেরুয়াখলা মমিনিয়া মাদ্রাসাটি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে এক করুণ ইতিহাস। মেরুয়াখলা মমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাথে জড়িয়ে আছে একজন ইনা মড়ল। প্রয়াত হাজী মমিন আলী মড়ল (ইনা মড়ল) স্বনামধন্য স্বশিক্ষিত সৎ উদ্দমী কঠোর পরিশ্রমী ও বিশাল হৃদয়ের অধিকারী একজন মহান দানবীর ব্যক্তি ছিলেন। তার উদ্যোগে মাদ্রাসাটি এমন জায়গায় প্রতিষ্টিত করা হয় যেখানে কোন রাস্তাঘাট ছিলনা। জায়গাটি ছিল জঙ্গলে ঘেরা,ভয়ঙ্কর পশুতে পরিপূর্ণ। তিনি এ জঙ্গল কেটে ও রাস্তাঘাট তৈরী করে প্রতিষ্ঠিত করেন প্রতিষ্ঠানটি। ইনা মড়ল যখন যুবক ছিলেন তখন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ঐ এলাকায়। গ্রামে একজন মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে জানাযা দেওয়ার মতো কোন লোক খুঁজে না পাওয়ায় জানাযা ছাড়াই দাফন সম্পন্ন হয়। এই ঘটনায় মর্মাহত হয়ে স্বীয় শ্রম ও অর্থায়নে এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তিনি গড়ে তুলেন বৃহৎ এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্টার পর থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন ধর্মপ্রাণ শিক্ষানুরাগী মুসলমানগন। এ মাদ্রাসা থেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বেরিয়ে গেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী, যারা দেশে বিদেশে সুনামের সাথে স্ব স্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত।
Tags জেলার খবর
সাবসক্রাইব করুন!
সবার আগে নিউজ পেতে সাবসক্রাইব করুন!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন