সোনারগাঁও সময়ঃ করোনার প্রাদুর্ভাবের ভয়ে লকডাউনে থাকা সোনারগাঁওয়ে পেট্রোল বোমার আঘাতে পোড়া প্রতিবন্ধী খোকনের পরিবারের অসহায়ত্বের কথা সোনারগাঁও সময় জানতে পেরে সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করার পরই খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে আসলেন স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন।
গতকাল দুপুরে মোগরাপাড়া ইউনিয়নে কোম্পানীগঞ্জ এলাকার রোশনা বেগমের ভাড়াটিয়া পুরো শরীর আগুনে পোড়া প্রতিবন্ধী খোকন মিয়ার স্ত্রী ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সোনারগাঁও সময়'র বার্তা সম্পাদক মিঠু আহমেদকে ফোনে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানালে তাৎক্ষনিক সম্পাদক রুবেল মিয়ার নির্দেশনায় সোনারগাঁও সময়'র ফেসবুক আইডিতে মানবিক সাহায্যে এগিয়ে এসে খাদ্য সহায়তার অনুরোধে পোষ্ট করা হলে বিষয়টি স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হয়।
এসময় পোষ্টে দেয়া সোনারগাঁও সময়'র বার্তা সম্পাদক মিঠু আহমেদের নাম্বারে ফোন করে "মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদ'র কর্ণধার এরফান হোসেন দীপ খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন, এছাড়া বিষয়টি সোনারগাঁও থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সোনারগাঁও প্রতিনিধি গাজী মোবারকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি এক বস্তা চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং ঈদ সামগ্রী দিয়ে আসেন এবং স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে আলমগীর হোসাইন অপুও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন।
প্রতিবন্ধী খোকন স্পষ্ট ভাষায় কথা না বলতে পারলেও তার স্ত্রী জানান, আমার স্বামী গুলিস্তানের একজন হকার ছিলেন। ২০১৫ সালে প্রতিদিনের মতো কাজ থেকে ফেরার সময় যাত্রবাড়ি এলাকায় বিএনপি ও জামাত-শিবিরের হরতাল চলাকালীন বাসে সন্ত্রাসীদের দেয়া পেট্রোল বোমায় আহত হয়ে পুরো শরীর পুড়ে কাজ করার ক্ষমতা হারিয়েছেন, সরকারি অনুদান ও বাবার বাড়ি থেকে এতোদিন খাদ্যসহায়তা করার কারনে আমরা দুমুঠো খাবার খেতে পেরেছি কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে সব কিছু লকডাউন হয়ে যাওয়ায় আমরা খুব অসহায় হয়ে পরেছি, দিনের পর দিন না খেয়ে থেকেছি, কিন্তু ক্ষুধার জ্বালা আর সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় সাংবাদিক মিঠু ভাইকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে খাদ্যসহায়তার আশ্বাস দেন। আজ বিভিন্ন গুনীব্যাক্তিরা খাদ্যসহায়তার মাধ্যমে পাশে দাড়িয়েছেন। আমাদের পরিবার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও সময়'র বার্তা সম্পাদক মিঠু আহমেদ বলেন, সোনারগাঁও সময় পরিবার সর্বদা অসহায় মানুষে পাশে দাড়াতে চেষ্টা করেছে। আজ এই অসহায় পরিবারের ক্ষুধার হাহাকার দেখতে পেয়ে,মনে হলো প্রতিদিন এতো খাদ্যসামগ্রী বিতরন হচ্ছে তাহলে এগুলো কোথায় যাচ্ছে। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে মানবিক দৃষ্টিতে এই অসহায় পরিবারের পাশে দাড়াবার জন্য আমি এবং আমাদের সম্পাদক নিজস্ব সংবাদ মাধ্যমের অফিসিয়াল (ফেইসবুক) আইডিতে পোষ্ট দিলে সাথে সাথে মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদ, থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি গাজী মোবারক ও আলমগীর হোসাইন অপু খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পাশে দাড়ায়। আমাদের সোনারগাঁও সময় পরিবার তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন