সোনারগাঁও সময় ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (কভিড ১৯) বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর পেক্ষাপটে সড়ক নৌ ও আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকা সরকার ইতিমধ্যে লকডাউন মেয়াদ ১৬মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে। ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক সোনারগাঁও থানাধীন মোগরাপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে প্রতিদিন মোটরবাইক দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যাত্রী পারাপারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চৌরাস্তা থেকে মদনপুর, কাচপুর, চিটাংরোড গুলিস্তান, এদিকে মেঘনা, ভবেরচর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা পর্যন্ত যাত্রী পারাপার করছে মোটরবাইক চালকরা। চার গুণ ভাড়া বেশি দিয়েও ছিনতাইয়ের শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের।পুলিশের তেমন একটা তৎপরতা না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মোটরবাইক বাহকরা।
কয়েকজন ভুক্তভোগি বলেন, জরুরী প্রয়োজনে কাজে কোনো যানবাহন না পেয়ে চার গুণ বেশি টাকা দিয়ে হোন্ডা দিয়ে যেতে হয়। এসব বেশীর ভাগ হোন্ডার ডিজিটাল নেমপ্লেট ও কোন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নাই।
অনেক সময় হোন্ডার বাহকরা যাত্রীদের গন্তব্যে না নিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ও গুরুতপূর্ন জিনিস হাতিয়ে নিয়েছে। এমন ছিনতাইয়ের পরিস্থিতি আমরা কয়েকজন হোন্ডার যাত্রীও পড়েছিলাম।
হোন্ডার আড়ালে যারা এসব ছিনতাই করছে তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থার দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর বলেন, প্রতিদিন সোনারগাঁ থানা দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় হোন্ডা চালকদের আটক করেছি এই পর্যন্ত ২০ টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে । পুলিশের টহলরত গাড়ি দেখলে গ্রামের চিপা রাস্তা দিয়ে তারা ঢুকে পড়েন।
পুলিশ যাওয়ার পর আবার তারা এসে যাত্রী বহন করে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল যেনো আর উঠতে না পারে তাই এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, হোন্ডা চালকরা পুলিশ দেখলে পালিয়ে যায়। এসব হোন্ডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। অবৈধ কোন ধরনের যানবাহনকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং যারা সরকারের নিষেধ অমান্য করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন