জিহাদ হক্কানী
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাস যখন সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল করে চলছে, তখন খেটে খাওয়া মানুষের কর্ম হারিয়ে হয়েছে দিশেহারা। অনেক পরিবারে কাজ না করলে তাদের খাদ্য যোগান হয় না।আবার অনেক পরিবারের কিস্তি ও পাওনাদারের চিন্তায় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ছে।করোনায় কাজ করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়ে এক পরিবার।কাজ নাই, পরিবারে খাবার নাই,দেনাদার ও কিস্তির চিন্তায় পড়েন এক দিনমজুর। মানসিক বিষন্নতায় গত ২০ এপ্রিল সকাল ১১টায় অভাবের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে গলায় দড়ি দিয়ে ছবিজল(৫৩) নামে ঐ দিন মজুর আত্মহত্যা করেন। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধাে জেলার সুন্দরগঞ্জের মজুমদার হাটের উত্তর পাশে। মৃত ছবিজলের পরিবার জানায় কাজ করতে না পারায় তাদের খাবার শেষ হয়ে যায়। তার উপর বাড়তি দেনাদারের চিন্তা ভাবনায় সবার অগোচরে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যান তিনি।স্বামী কে হারিয়ে তাঁর স্ত্রী ভেঙে পড়েছেন। কিভাবে চলবে তার ৬জনের সংসার আর কিভাবে শোধ করবে ১ লাখ টাকার দেনা।তাঁর একমাত্র ছেলেও বাবাকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভীষণ ভেঙে পড়ছে। করোনা নয় এমন অনেক দিন মজুর কাজ করতে না পারলে না খেয়ে মরবে নতুবা নিজে পৃথিবীর বন্দিদশা থেকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমাবেন।তাঁর পরিবারের আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট যেন দেশের দিনমজুর দের জন্য কিছু সহযোগিতা করেন।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা প্রতিবেদনে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছিল যে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের মানুষের জন্য নভেল করোনাভাইরাসে শ্বাসকষ্টের একটি কারণ ছিল।
৮ মার্চ, আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিন জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস উপস্থিতির কথা ঘোষণা করেন তিনি।২৪ই এপ্রিল পর্যন্ত অর্ধেকের বেশি জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ)ঘোষণা করা হয়েছে । এছাড়াও কিছু জেলার কয়েকটি উপজেলা বা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এলাকাকে লকডাউন করা হয়েছে। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসন এই অধিকার রাখেন এবং এজন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অনুমতি নেয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। লকডাউন ঘোষিত জেলাগুলোতে অন্য জেলা থেকে লোকজনের আসা যাওয়া এবং জেলার আভ্যন্তরীণ চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।i আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থানে আছেন। দেশে নিশ্চিতকৃত মোট রোগীর ৫৬ শতাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। গাইবান্ধাও করোনা ঝুকিতে সামনের সারিতে আছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন