অসিত কুমার দাসঃ দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গিয়েও করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে হাজার হাজার মফস্বল সাংবাদিক।
প্রতিটি উপজেলায় গ্রামে হাটে- বাজারে, পথে- ঘাটে, অসহায় মানুষগুলোর মাঝে উপজেলা প্রশাসন, এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান, কমিশনার, মেম্বারসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার চিত্রসহ আনাচে- কানাচে ঘুরে ঘুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে মফস্বল সাংবাদিকবৃন্দ।অথচ তাদের নিজেদেরই করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে নেই কোন সামগ্রী।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হয়নি গ্রামে গঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালন করা এসব মফস্বল সাংবাদিকদের জীবন সুরক্ষার সামগ্রী। নামে মাত্র কেউ কেউ মাক্স ,হ্যান্ড-গ্লাভস ও হাতেগনা কয়েকটি পিপিই দিলেও সুরক্ষা সামগ্রীর পাশাপাশি স্বাস্হ্য বীমা ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাচ্ছি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মফস্বল সাংবাদিকসহ বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে।
সোনারগাঁয়ে মফস্বল সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম জানান, আমরা বাজার থেকে মাক্স ও হ্যান্ড-গ্লাভস কিনে ব্যাবহার করছি। আমাদের কোন ঝুঁকি ভাতা নেই। প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায়ও আমাদের নেওয়া হয়নি।
সাংবাদিক শাহদাদ হোসেন রতন বলেন, আমরা মফস্বল সাংবাদিকরা শত কষ্ট শিকার করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছি। আমাদের দিকে সরকারও দেশের বিত্তবান ব্যাক্তিরা সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। আমাদের অবশ্যই স্বাস্হ্যবীমা ও প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোড় দাবী জানাই।
সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আল আমিন তুষার বলেন, যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা- কর্মচারীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বস্হ্যবীমা ও প্রনোদনার কথা ঘোষনা করেছেন, সেখানে মফস্বল সাংবাদিকদেরকেও স্বস্হ্যবীমাসহ প্রনোদনার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করার জোড় দাবী রইলো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন