নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের সকল কে.জি স্কুলের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মচারীদের সালাম নিবেন। করোনা ভাইরাসের কারণে আপনার নির্দেশে গত ১৬ই মার্চ দেশের সকল কে.জি স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, একটি কে.জি স্কুল পরিচালিত হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক টিউশন ফি’র উপর। আপনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল বন্ধ হওয়ার সাথেসাথেই স্কুলের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৬ই মার্চের পর থেকে কোন কে.জি স্কুল এক টাকাও টিউশন ফি পায়নি, যার কারনে স্কুলের ঘরভাড়াও দেওয়া যাচ্ছে না, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনও দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে দেশের ৮০% স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে এবং লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা বেকার হয়ে যাবে। পৃথিবীতে আপনার মত যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী থাকতে যদি ৮০% স্কুল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটি হবে বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। শিক্ষকরা জাতির বিবেক, এই কে.জি স্কুলের শিক্ষকরা এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দান করে দেশসেবা করে আসছে। আপনি যদি তাদের কথা না ভাবেন তাদের দিকে সুনজর না দেন তাহলে এই শিক্ষকরা না খেয়ে মারা যাবে। এই কে.জি স্কুলের টিচারদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়ে দেশে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, জজ, ব্যারিস্টার এবং অফিসার তৈরি হচ্ছে। এরা জাতীর সম্পদ, জাতি গঠনে এই কে.জি স্কুলের টিচাররা শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাট ভুমিকা রাখতেছে। এই মহাসংকটে, মহাবিপদে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক কে.জি স্কুলের টিচারদেরকে একটি রেশন কার্ড ও মাসিক ৬০০০ টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে তাদেরকে বাঁচতে সাহায্য করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের একমাত্র অভিভাবক তাই আপনার কাছে এই আকুল আবেদনটি জানালাম,, ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
আবেদনকারী
দেশের সকল কে.জি স্কুলের পক্ষে
লায়ন মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম
চেয়ারম্যান (চট্টগ্রাম) কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন
সুত্রঃ সকালের চট্টগ্রাম
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন