নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ইমরান হোসেন (২৬) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
ইমরান হোসেন উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
নিহত ইমরান হোসেনের পরিবার একেক সময় একেক রকম দাবি করছেন। একবার বলছেন পিতার সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর অপমানিত হয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে , আবার বলছেন হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।
এদিকে ঘটনার দিন ১১ সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করে। এ নিয়ে ইমরানের মৃত্যু রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,ইমরান হোসেন ও তার পিতা সিদ্দিক মিয়া উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি চিনিশ এলাকায় ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে একটি চা- সিগারেটের দোকানে দোকানদারি করেন।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য লকডাউনে জন্য বেচাবিক্রি কম থাকায় ঘটনার দিন গত শনিবার দুপুরের দিকে ইমরান দোকানে একা ছিল।
এসময় পিতা সিদ্দিক মিয়া উত্তেজিত হয়ে দোকানে এসে ছেলেকে মারধর করতে থাকেন। মারধরের এক পর্যায়ে বেগতিক আঘাতের কারণে ইমরানের মৃত্যু হয়।
মৃত্যু নিশ্চিত জেনে দোকানের ভেতরে লাশ রেখে ঝাঁপ নামিয়ে তালা লাগিয়ে বাইরে বসে থাকে।
এই ঘটনার দুই ঘন্টা পরসিদ্দিক মিয়া এক সাংবাদিক ও স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে সত্য ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।
নাটকের এক পর্যায়ে ইমানের লাশ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।পরে তার পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে
ইমরানের লাশ দাফন করেন।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ইমরান তিনটি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তার
পিতা সিদ্দিক মিয়ার লালসার শিকার হয়ে পর পর দুটি বউ ইমরানকে ছেড়ে চলে যায়।
বর্তমানে তৃতীয় স্ত্রীর সাথে পিতা সিদ্দিক মিয়ার অনৈতিক কাজ দেখে ফেলার কারনে পিতা-পুত্রের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি থেকেই পুত্র ইমরানকে জীবন দিতে হয়েছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
নিহত যুবকের বন্ধু মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহত ইমরান বাড়িতে গেলে তার বাবার সাথে ঝগড়া বিবাদ করে রাতেই দোকানে চলে আসে।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ঘটনা যাই হোক না কেনো এলাকার একজন নামধারী সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিনা বলেন, আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে তার স্বজনরা বলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ।
ইমরানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই । নিহতের পরিবারের লোকজন আমাদের জানিয়েছেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন