বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সারাদেশ যখন করোনা সংক্রমণ এর ভয়ে রোসানলে, কিভাবে এই সংক্রমিত ও ভয়ার্ত ভাইরাস থেকে বাঁচা যায়। বাংলাদেশ সরকার হতে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এই করোনা নামক বিপর্যয় হতে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিতে ব্যাস্ত।
করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রশাসন ও পুলিশ রাতদিন একাকার করে দেশের জনগনকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় সেই প্রচেষ্টা নিয়ে নানান কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আর সেই সময়ে নরসিংদীর মাদক ব্যবসায়ীরা ফুসে উঠেছে মাদক ব্যাবসায়। তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া লকডাউনের নামে মহল্লার প্রধান সড়ক গাছের গুড়ি ও ডালপালা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে যাতে করে তাদের ব্যাবসা চলে রমরমা।
নরসিংদী সদর উপজেলাসহ প্রায় প্রতিটি উপজেলাতে বাড়ছে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবন কারীর উৎপাত, তার সাথে চুরি ছিনতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে তুলনামূলকভাবে। মাদক সেবন কারীরা তাদের নেশার টাকা যোগান দেওয়ার জন্য চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধে ঝুঁকছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী পৌরএলাকার বকুলতলা চৈইতাল পাড়া, কাউরিয়াপাড়া বস্তি এলাকা, ঘোষপাড়া, ইউএমসি ও নতুন বাসষ্টেন্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক সেবনকারী ও সরবরাহ বাড়ছে। এছাড়া ও চিনিশপুর ইউপি এলাকার পুরানপাড়া, দাসপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তি জানান, মাদক বিক্রেতার হাত বড় থাকে, তাই সমাজ হতে তাদের সরাসরি কিছু বলা যায়না । যদি কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যায় তাহলে তারা মারধর করাসহ মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এই তো গত ২৬শে জানুয়ারি পুরানপাড়া এলাকা হতে ১০৫ পিস ইয়াবাও বিস্ফোরক তৈরির উপদানসহ দেলোয়ার নামে ৩৩ বছর বয়সের এক যুবককে আটক করে র্যাব ১১। আর সেই সময়টা এই এলাকা প্রায় নেশাশূন্য হয়ে পরে। কিছুদিন আগে সে জামিনে ছাড়া পাওয়ায় আবার তার ছোট ভাই রেজাউল সহ রমরমা ইয়াবা বাণিজ্যে শুরু করেছে। তারা তাদের এই ব্যাবসার মাধ্যেমে সমাজকে ধংস্ব করে দিচ্ছে। হুমকির মুখে পরছে যুবসমাজ। (কোভিড ১৯) করোনা আতংকের মধ্য পুলিশের নজরদারী না থাকায়, তারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক, সেবন কারীর নিকট পৌছে দিচ্ছে সহজে।
শুধু তাই নয় পুরান পাড়া ও আমিরাবাদ এই দুই গ্রামের সীমানা এলাকা খালপার নামক স্থানে, কলা বাগানে, ও নদীরপাড়ের নিচু জমিতে সকাল দুপুর চলে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর।
পৌরএলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, বকুলতলায় মাদক ব্যাবসায়ী জুয়েলকে কে না চেনে যার হাত দিয়ে শহরে মাদক প্রবেশ করে থাকে। তার নামে মাদকের মামলাও রয়েছে, গ্রেফতার হয় আবার জামীনে ছাড়া ও পায়। বকুলতলা চৈতালপাড়া যুবসমাজ জুয়েলের মাদকের থাবার মধ্যে আটকে আছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন