বাংলাদেশে বাসাবাড়িসহ সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে ভারতে কমেছে গ্যাসের দাম। সেখানেও ১লা জুলাই থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বাসাবাড়িসহ সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
গ্যাসের নতুন মূল্যবৃদ্ধির ফলে আবাসিক গ্রাহকদের রান্নাঘরে যাদের এক চুলা আছে, তাদের ৭৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতি মাসে দিতে হবে ৯২৫ টাকা। আর দুই চুলার গ্রাহকদের প্রতি মাসে ৮০০ টাকার পরিবর্তে দিতে হবে ৯৭৫ টাকা।
গৃহস্থালিতে যাদের গ্যাসের মিটার রয়েছে, তাদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহারের জন্য ৯ টাকা ১০ পয়সার পরিবর্তে ১২ টাকা ৬০ পয়সা করে দিতে হবে। মিটারে ৩৮.৪৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে ভারতে তরলীকৃত গ্যাসের ক্ষেত্রে দু’রকমের দাম কমানো হয়েছে। সেখানে সিলিন্ডারে করে এসব গ্যাস বিক্রি করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার বছরে বাড়িপ্রতি ১৪.২ কিলোগ্রামের ১২টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি দেয়। এর বাইরে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হলে বাজারমূল্যে কিনতে হয়। তবে উভয় ক্ষেত্রেই দাম কমানো হয়েছে।
অনলাইন এনডিটিভি বলছে, দিল্লি ও মুম্বইতে নন-সাবসিডির ক্ষেত্রে প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে প্রায় ১০০ রুপি। অন্যদিকে ভর্তুকি দেয়া হয় এমন সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে প্রায় তিন রুপি।
বলা হয়েছে, এলপিজি হিসেবে পরিচিত রান্নার এই গ্যাস পরিবর্তিত দামে আজ থেকেই বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা। ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের ডাটায় বলা হয়েছে, ভর্তুকির অধীনে নেই এমন ১৪.২ কিলোগ্রামের প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম দিল্লিতে কমানো হয়েছে ১০০.৫ রুপি। আর মুম্বইতে কমানো হয়েছে ১০১ রুপি। রাষ্ট্র পরিচালিত ইন্ডিয়ান ওয়েল ‘ইন্দানি’ ব্রান্ড নামে এলপিজি গ্যাস সরবরাহ করে। বলা হয়েছে, যেসব সিলিন্ডার ভর্তুকির আওতায় তার দাম দিল্লিতে কমানো হয়েছে ৩.০২ রুপি। আর মুম্বইতে কমানো হয়েছে ৩.০৫ রুপি। ভর্তুকি দেয়া হয় না এমন এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের প্রতিটির আজ থেকে পরিবর্তিত দাম দিল্লিতে ৬৩৭ রুপি, কলকাতায় ৬৬২.৫ রুপি, মুম্বইতে ৬০৮.৫ রুপি এবং চেন্নাইতে ৬৫২.৫ রুপি। অন্যদিকে ভর্তুকি দেয়া হয় যেসব এলপিজিতে তার প্রতি সিলিন্ডারের দাম দিল্লিতে ৪৯৪.৩৫ রুপি, কলকাতায় ৪৯৭.৪৭ রুপি, মুম্বইয়ে ৪৯২.০৪ রুপি ও চেন্নাইতে ৪৮২.২৩ রুপি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন