বুধবার (২৬ জুন) সকালে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় তারা এ মানববন্ধন করেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা মানববন্ধনকালে বলেন, রাক্ষসরুপী এই প্রিপেইড মিটার লাগানো জনগণের স্বার্থে বন্ধ করতে হবে। এ প্রি-পেইড মিটারে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বিল গুনতে হয় গ্রাহকদের। এছাড়াও বিভিন্ন চার্জের নামে অর্ধেক টাকা কেটে নেওয়া হয়। প্রতি বার রিচার্জে এমনভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এ মিটার আমরা চাই না। তারপর সোনারগাঁঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোড় পূর্বক এ মিটার লাগাতে আসে। গত সোমবার সকালে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সনমান্দি চরলাল এলাকার জোড়পূর্বক প্রি-পেইড মিটার লাগানো শুরু করে। এতে এলাকাবাসী সবাই মিলে আমরা বাধাঁ প্রদান করি। এসময় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন পুলিশের ভয় দেখিয়ে আমাদের বাড়িতে মিটার লাগানো শুরু করে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয় এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন আমাদের এলাকার ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ শাখোয়াত নামের এক গ্রাহককে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালাল করে। পল্লী বিদ্যুতের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় আমরা সনমান্দি বাসী তীব্র প্রতিবাদ জানাই সাথে শাখোয়াতকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এ সময় আরো বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ যদি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করে তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়াসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, গত কয়েক মাস ধরেই সারাদেশের মানুষ এই প্রিপেইড মিটারের অনিয়মের ভোগান্তিতে পরে, এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলাগুলোতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলন করে আসছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন